Header Ads

র‍্যাবের উদ্ধার করা আট কেজি সোনা বৈধ, মামলায় খালাস সেই মনির || SHARIATPUR ONLINE

 ২০২০ সালের নভেম্বরে মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’কে গ্রেপ্তার করা হয়


অস্ত্র আইনের মামলার পর এবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলা থেকে খালাস পেলেন মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন’ মনির। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার গত রোববার এ রায় দেন।

সোনা ও টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি করা হয়েছিল। রায়ের তথ্য বলছে, বাড্ডায় মনিরের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে র‍্যাবের জব্দ করা ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, আট কেজি সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ উপার্জনের মাধ্যমে অর্জিত। রাষ্ট্রপক্ষ মনিরের বিরুদ্ধে আনা বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

রায়ের বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, মনির আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

অবশ্য রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি মনিরের সম্পদের মালিকানা যাচাইয়ের পর আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছেন, মনিরের বাসা ও প্রতিষ্ঠান থেকে র‍্যাবের জব্দ করা সম্পদ বৈধ।


রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসায় ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সে সময় একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা, বিপুল স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করার কথা জানানো হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছিল র‍্যাবের পক্ষ থেকে। পরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আরেকটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মনিরের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল।

র‍্যাবের তিন মামলার মধ্যে অস্ত্র মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি মনিরকে খালাস দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। গত রোববার খালাস পেয়েছেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়। র‍্যাবের করা মাদক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। সিআইডির মামলা তদন্তাধীন, দুদকের মামলাটি বিচারাধীন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.