ভেদরগঞ্জে যুগান্তরের সাংবাদিককে হত্যার হুমকি রাজস্বের পিওনের।।
ভেদরগঞ্জে যুগান্তরের সাংবাদিককে হত্যার হুমকি রাজস্বের পিওনের।। শরীয়তপুর
ভেদরগঞ্জ শরীয়তপুর
দৈনিক যুগান্তরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাকিল আহম্মেদকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছেন.. ঢাকা কর অঞ্চল-৫ এর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন খোকা নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঐ সংবাদকর্মীর হোয়ার্সএ্যাপে ফোন দিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ঐ কর্মচারী। মহিউদ্দিন খোকা শরীয়তপুরের সখিপুর থানার রাড়ীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান সরদারের ছেলে। তিনি সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। হুমকি-ধামকির ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে সখিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন সংবাদকর্মী শাকিল।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদ জানায়, মঙ্গলবার রাতে তার নিজের ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি লিখা পোস্ট করেন তিনি। লেখাটি ছিলো "এই দেশের কিছু কুফা মানুষ আছে, হেরা যার মিক্কা যায় হেয়ই ফেল করে"। সেখানে শত শত মানুষ লাইক, কমেন্ট করে। লিখাটিতে কোন বিশেষ ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করেনি তিনি। কিন্তু মহিউদ্দিন খোকা নামে ঐ ব্যক্তি লেখাটি তাকে উদ্দেশ্য করে লিখা হয়েছে বলে দাবি করেন এবং কোন প্রকার কারণ ছাড়াই মুঠোফোনে সাংবাদিক শাকিলকে গালিগালাজ, ভয়-ভীতি এবং হত্যার হুমকি দেন। যা তিনি তার মুঠোফোনে রেকোর্ড করতে সক্ষম হোন।
সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মহত এবং নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি। মহিউদ্দিন খোকা একজন মাদকাসক্ত লোক, আমি তার বিচার দাবি করছি।
তবে এ বিষয়ে মহিউদ্দিন খোকা বলেন, আমি ইনকামটেক্সে পিওন হিসেবে আছি। শাকিল ফেসবুকে উল্টাপাল্টা লিখা লিখে। তাই আমি তাকে রাগ হয়ে খারাপ ভাষায় কথা বলেছি।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, যুগান্তরের সংবাদিক শাকিল আহম্মেদকে হুমকি ও প্রাণনাশের বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই